JAGRIK STORY'S
STORY NO - 20
নাম :-রনি হালদার
সংস্থা :- ভাবনাঅ্যাসোসিয়েশনফরপিউপিলআপলিফটমেন্ট (বাপু)
মৌলিক অধিকার- 5
জীবন জাগরীক ব্রঞ্চ টাস্ক
প্রশ্ন-
তোমার নিজে covid-19 চলাকালীন তোমার পাড়ার কোন বাচ্চাকে এক সপ্তাহ ধরে পড়াও।
উত্তর-
সূচনা- আমার বাবা ও মায়ের কাছে অনুমতি নিলাম একটি কাজ করার জন্য আমাদের পাড়ার একটি পাশের বাড়ি একটি বাচ্চাকে পড়াশোনা দায়িত্ব নিলাম ।
প্রসঙ্গ- এই পড়ানোতে প্রসঙ্গ হলো যে আমি সেই ভাইটিকে ভালো করে পড়া বোঝাতে পারি এবং সে যাতে বুঝতে পারে আমার সেই কাজটি যেন সফল হয়।
প্রথম দিন-
সন্ধ্যে ছটার সময় থেকে আমি তাকে পড়াতে গেলাম প্রথমে আমি তাকে অংক বুঝাবো ভাবলাম দিয়ে তাকে অংক বোঝানোর শুরু করলাম তারপর তাকে বুঝিয়ে তাকে অংকটি করতে দিলাম সে প্রথমবারে পারেনি তখন পরেরবার আবার আস্তে আস্তে ভালো করে বুঝাতে লাগলাম তারপর তাকে সেইগুলোই বাড়ির কাজ দিলাম এবং তাকে বললাম যে সেগুলো তাকে বাড়িতে করতে হবে এগুলো আবার দ্বিতীয় দিন করতে দেবো বলে আজকের মত পড়া শেষ করলাম এটি আমার প্রথম দিন।
দ্বিতীয় দিন -
আবার দ্বিতীয় দিন আমি পড়াতে গেলাম প্রথম দিন যেগুলো করিয়েছিলাম থাকে সেগুলো আবার করতে দিলাম কিন্তু সেটাও পারছিল না আবার তাকে বুঝাতে লাগলাম তারপর তাকে বাড়িতে কাজ দিয়ে ছুটি দিলাম।
তৃতীয় দিন-
তৃতীয় দিন আমি যখন পড়াতে গেলাম আগের দু'দিন যা করিয়েছিলাম সেইগুলোকে অল্প অল্প করতে দিলাম তারপর আরো অংক করতে দিলাম কিন্তু সে বেশি করে অঙ্ক করতে পারছিলো না । তারপর তাকে আরও ভাল করে অংক গুলো বোঝানোর চেষ্টা করলাম ।
চতুর্থ দিন -
যেগুলো বলেছিলাম আগে তিন দিনে বাড়ি থেকে করে আসতে সেই গুলো সব করেছে । এরপর অংক গুলো সে আস্তে আস্তে ভালই করতে পারছিল। আমি ভাবলাম যে আমি তাকে বোঝাতে পেরেছি এইভাবে ওকে শিখিয়ে শিখিয়ে অনেক কিছু শেখাতে পারলাম এভাবে আমার কেটে গেল সাত দিন।
চরিত্র- আমি ও আমার ছাত্র।
দ্বন্দ্ব- আমার এই কাজটি করার সময় বেশি অসুবিধা হয়নি আমাকে এসে বাচ্চাটিকে যেটুকু সময় দিতে হয়েছিল সেই বোঝানোর জন্যই তাকে সেইটুকু সময় যথেষ্ট।
শীর্ষস্থান -এই সাতদিন আমার সেই শিশুটিকে পড়িয়ে খুবই ভালো লাগলো । সেই শিশুটিকে অবশ্য আমার কাছে পড়ে তারও খুব ভালো লেগেছে বলে জানায়। আমার তাকে পড়াতে গিয়ে নিজেরও খুব ভালো লাগলো নিজেও অনেক কিছু শিখতে পারলাম ও তাকেও কিছু শেখাতে পারলাম। এই কাজগুলি জগরিক কমিউনিটি থেকে করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগলো।