AMFAN SITUATION

নাম- laksan mondal

সংস্থা :- ভাবনাঅ্যাসোসিয়েশনফরপিউপিলআপলিফটমেন্ট (বাপু)

                                                                                                ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

 

29 শে মে, বুধবার 2020 দিনটার শুরুটা ছিল বাকি পাঁচটা দিনের মতোই। কিন্তু বেলা যত গড়িয়েছে মেঘের রং এর সঙ্গে মানুষের মুখে কালো ছায়া নেমে এসেছে। 2004 সালে থাইল্যান্ড ঝড় টির নামকরণ করে। যার অর্থ হলো আকাশ । এখন 16 বছর পর সেই ঝড়ই কয়েক কোটি মানুষের কাছে এক মূর্তিমান বিভীষিকা। এই শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এটি প্রথম সুপার সাইক্লোন বাতাসের গতি 180 কিম/ঘন্টা । কলকাতা ও তত্সংলগ্ন এলাকায় যা ছিল 130 কিমি/ঘন্টা ।মোট নিহতের সংখ্যা 112 জন । এটি ভারতের প্রথম তিনটি সুপার সাইক্লোন এর মধ্যে একটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের পরে এলবেসটার আছে অথচ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এমন লোক বিরল। পরের দিন সকাল থেকে হার্ডওয়ার্স বিল্ডার্সের দোকান সারাক্ষণ ভর্তি ছিল।ঝড়ের ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয় ও অনেক জায়গায় মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়ে। ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলে কোন ফোনে নেটওয়ার্ক ছিল না। দূরে থাকা পরিবার-পরিজন মেয়েরা ফোনে না পেয়ে ব্যতিব্যস্ত ও একই সঙ্গে চিন্তিত হয়েছিল। তিন দিন পরে মোবাইলের নেটওয়ার্ক এলে ও বিদ্যুৎ সংযোগ আছে ছয় দিন পর। চারিদিকে বা জেনারেটর ভাড়া নেওয়ার ধুম পড়ে গিয়েছিল। যা বিদ্যুৎ সংযোগ আসার সীমিত হয় অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ আসতে 12 থেকে 13 দিনো লেগে গেছে। কোন মোবাইল ফোনে চার্জ ছিলনা। জেনেটার এ চার্জ দিতে নিয়ে গেলে 30 টাকা থেকে 35 টাকা করে নেওয়া হতো ফুল চার্জ দেয়ার জন্য। ঝড়ের পরদিন থেকে গাছ কাটতে পারে এমন লোকের চাহিদা ছিল তুঙ্গ। ফলে তারা রীতিমতো চরাচর হাঁটতে শুরু করে। এই ঝড়ের ফলে এলাকায় বড় গাছ সংখ্যা হাতে গোনা। ঝড়ের মধ্যে কিছু অতি সাহসী লোক আম ঝরে যাওয়া ঘরের টিন কুরআনের প্রতিযোগিতা করেছিল। ঝড়ের পর থেকে রাজমিস্ত্রিদের হাতের নাগালে পাওয়া যায় না। চায়না পরিস্থিতির সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত দর হাঁকছেন।